মনুনদী সেচ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁ এই ফিসপাসটি নির্মাণ করা হয় ১৯৯৫ সালে। বাঁধ ও রেগুলেটরের দ্বারা কুশিয়ারা নদীর পানি যাতে ‘হাওর কাউয়া’দিঘিতে প্রবেশ করতে না পারে,সে ব্যবস্থা করার কারণে নদী খেকে হাওরে মাছের স্বাভাবিক প্রবেশ যাতে একেবারে বন্ধ না হয়ে যায় সে জন্য আধুনিক প্রযুক্তিতে এই ফিসপাস নির্মাণ করা হয়।মনুনদী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নিঁর্মাণ করা হয় ১৯৭৬-১৯৮৩ সালে।লক্ষ্য ছিল ২৪১বর্গ মাইল এলাকার ফসল রক্ষার জন্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি নিষ্কাষণ। এই বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ মাছের স্বাভাবিক মাইগ্রেশন বাধাগ্রস্থ করে ফেলে।ফলে কাউয়াদিঘি হাওরে মাছের প্রাকৃতিক বংশবিস্তার চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। ‘হাওর কাউয়াদিঘি’অত্র অঞ্চলের একমাত্র বৃহৎ জলাশয় যাতে মনু ও কুশিয়ারা উভয় নদীর পানি প্রবেশ করে। এছাড়া ভাটেরা টিলা থেকে সরাসরি কমপলিযুক্ত,দুষণমুক্ত পানি এসে নামে এই বিশাল হাওরে। এসব কারণে কাউয়াদিঘি হাওর মাছের ডিম পাড়া ও বংশবিস্তারের জন্য একটি আদর্শস্থান হিসাবে বিবেচিত হয়ে আসছিল।কিন্তু বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এই স্বাভাবিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করে তুলে।
ফিসপাস পাইলট প্রজেক্টের আওতায় এই ফিসপাসটি নির্মাণ করা হয় রাজনগর উপজেলার কাশিমপুর পাম্প হাউজটির ঠিক পাশে-যদি এখানে কাঙ্খিত ফল পাওয়া যায় তবে দেশের অন্যান্য বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধেঁ অনুরুপ ফিসপাস নির্মাণ করা হবে এই লক্ষ্যে।ফিসপাসটি একটি ভারটিকাল স্লট ফিসওয়ে নিয়ে গঠিত যা ১৮টি ব্যাফল , ১৭ পুল ও ২টি মাছ পর্যবেক্ষণ চেম্বার নিয়ে গঠিত।
অস্ট্রেলিয়ান প্রযুক্তিতে ৬১.৮৫ মি. লম্বা ও ৬.৫৪মি, উচ্চতা,প্রস্থে ৫মি. ফিসপাসটি নির্মাণ করাহয় ১৯৯৫ সালে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস